ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ , ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মূল ফোকাস জাতীয় নির্বাচন টার্গেট ফেব্রুয়ারি এপ্রিল : সিইসি প্রতিবছর জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণের অঙ্গীকার জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্যে অনিশ্চয়তা ইরান থেকে ঢাকায় পৌঁছালেন ২৮ বাংলাদেশি ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে বিদ্যুতের ১০ সাবস্টেশন নির্মাণ হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবি শেষবারের মতো পর্দায় ফিরছে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ শুধু পুরুষদের বিনোদনের জন্য ভাবা হতো আমাকে : স্কারলেট মাফিয়া চক্র নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আমির খান বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের গুজব নিয়ে মুখ খুললেন ফাতিমা এবার পাইরেসির কবলে পড়লো ‘কান্নাপ্পা’ ব্যস্ততার মাঝেই জন্মদিন পালন করলেন জয়া শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ বলতে নারাজ জাহিদ হাসান নিজের মৃত্যুর গুজব নিয়ে যা জানালেন মাহি আবারও ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক ২৬ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছয় মাসে কর্মস্থলে ঝরেছে ৪২২ শ্রমিকের প্রাণ
বর্তমানে পাইকারি বাজারে ১০-১২ টাকা কেজি দরে আলু কেনা-বেচা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষক

কুড়িগ্রামের আলু যাচ্ছে মালয়েশিয়া-নেপাল দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট কৃষক

  • আপলোড সময় : ২১-০২-২০২৫ ০৩:০১:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০২-২০২৫ ০৩:০১:৫৭ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামের আলু যাচ্ছে মালয়েশিয়া-নেপাল দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট কৃষক
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। তবে দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষক। কেননা উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু।
এমন পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া ও নেপালে আলু রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির পর লাভবান হতে না পারলেও কিছুটা লোকসান কমানোর সুযোগ পেয়েছেন চাষিরা। তবে সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে লোকসান আরও কমতে পারত বলে মনে করেন তারা।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় সাত হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত আট হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষক। চাহিদার তুলনায় বেশি আলু চাষ করায় বাজারে দরপতন শুরু হয়েছে। খরচ উঠাতে না পেরে কৃষকের চোখে-মুখে চরম হতাশা।
বর্তমানে পাইকারি বাজারে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে আলু কেনা-বেচা হচ্ছে। দামের এমন অবস্থা হওয়ায় অনেকে জমিতেই আলু ফেলে রেখেছেন। তবে হঠাৎ করে আলু রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আশার আলো দেখলেও দাম না থাকায় কোনও উপকারেই আসছে না।
প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ৩০ শতক জমিতে আলু চাষ করেছেন সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব গ্রামের চাষি সফিকুল।
তিনি বলেন, এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে কেজি প্রতি আট থেকে ১০ টাকা দাম হওয়ায় জমিতে আলু ফেলে রেখেছিলাম। রপ্তানির খবর শুনে ১২ টাকা কেজি দরে পাইকারের কাছে আলু বিক্রি করলাম। এতে ২৫ হাজার টাকার মতো পাব। এরপরও ১৫ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে আলুর আকার ভালো না হওয়ায় সব জমি থেকে আলু নিচ্ছেন না সরবরাহকারীরা। তারা বলছেন, রপ্তানির জন্য আলুর সাইজ ৮০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম হতে হবে। আন্ডার সাইজ বা খারাপ আকৃতির আলু গ্রহণ করছেন না তারা। এতে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা।
প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ করে ৯৫ একর জমিতে আলু চাষ করেছেন চর সারডোবের চাষি কাদের মিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারমূল্য দেখে ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছি। সামনে দাম না বাড়লে মাঠে মারা যাব।
কাদের মিয়া বলেন, আলু চাষে এখন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এক একর জমি ভাড়া নিতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। এতে এক হাজার আলুবীজ কিনতে লাগে ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া সার, সেচ, কীটনাশক ও লেবার খরচ যায় ৯০ হাজার টাকার মত। এতে মোট খরচ দাঁড়ায় দুই লাখ টাকা।
প্রতি একরে পাওয়া যায় ২০০ বস্তা আলু। প্রতিবস্তায় ৬০ কেজি হলে মোট আলু পাওয়া যায় ১২ হাজার কেজি। এতে দেখা যাচ্ছে প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৬ দশমিক ৬৬ টাকা। সেই আলু ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হলে বড় লোকসানে পড়বেন চাষি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আলু রপ্তানিকারক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারিতে মালয়েশিয়া ও নেপালের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম থেকে পাঁচটি ট্রাকে ৭৫ টন আলু চট্টগ্রাম বন্দরে গেছে। তবে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে চাষিদের ক্ষতি কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চাষিদের জন্য বড় খবর হলো বিদেশে আলুর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সঠিক মূল্যে আলু বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবেন চাষি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য